সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম ও রফিকুল ইসলামকে অভ্যর্থনা

দূর পরবাস

সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম ও রফিকুল ইসলামকে অভ্যর্থনা

দূর পরবাস ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০২১, ১৭: ৩৬

 

অ+অ-

 

সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম ও রফিকুল ইসলামকে অভ্যর্থনা

সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম মন্টুকে সংবাদ সংগ্রহ সংস্থা বা সংবাদ মিউজিয়াম (এনএনসি) ভার্চ্যুয়াল অভ্যর্থনা দিয়েছে। সংস্থার প্রধান কর্মকর্তা মাসুম বিল্লাহর পরিচালনায় প্রবীণ রাজনীতিবিদ আবুল হোসাইনের সভাপতিত্বে গতকাল শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) এ অনুষ্ঠান হয়।

ভার্চ্যুয়াল অভ্যর্থনার সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন জার্মান বাংলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি খান লিটন। অস্ট্রেলিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবদুল মতিন সবাইকে শুভেচ্ছা জানান।

রোজিনা ইসলাম দৈনিক প্রথম আলোর সাংবাদিক। সম্প্রতি তাঁর বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার জন্য আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। তার মধ্যে নেদারল্যান্ডস থেকে Winner of Most Resilient Journalist অন্যতম। রফিকুল ইসলাম মন্টু বাংলাদেশের উপকূলের প্রান্তিক জনপদ ও প্রান্তিক মানুষের জীবনযুদ্ধ নিয়ে লেখেন এবং তাদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন। সম্প্রতি গ্লাসগোতে পরিবেশবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তাঁর তোলা পরিবেশ বিপর্যয়ের ছবি প্রদর্শিত হয়। তা ছাড়া তিনি People of Nature Award’ ২১ পেয়েছেন। তাঁদের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও অর্জনের জন্য এনএনসি অভ্যর্থনার আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন জার্মানপ্রবাসী লেখক, সাংবাদিক ও প্রথম আলোর হ্যানোভার (জার্মানি) প্রতিনিধি সরাফ আহমেদ। তিনি বলেন, সাংবাদিকতা একটি ঝুঁকিপূর্ণ পেশা। এ পেশায় সাহস ও সততা নিয়ে কাজ করার জন্য গুণী দুই সাংবাদিককে অভিনন্দন জানান। তিনি আরও বলেন, রোজিনা ইসলামকে যে কারণে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তা সঠিক ছিল না বলে তাঁর বিশ্বাস।

আলোচনায় আরও অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও এনএনসির পৃষ্ঠপোষক এস এম নজরুল ইসলাম। তিনি তাঁর বক্তৃতায় দুই সাংবাদিককে বাংলাদেশের গৌরব বলে উল্লেখ করেন। আলোচক সাবেক সংসদ সদস্য ও এনএনসির উপদেষ্টা নাভানা আক্তার, তিনি সাংবাদিকদের অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি নারীর ক্ষমতায়নের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

ইবাইস ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক জাকারিয়া লিংকন বলেন, সরকার ও প্রশাসন, তারপর হচ্ছে সাংবাদিকদের ভূমিকা দেশের জন্য। তাই এমন কোনো সংবাদ প্রচার করা উচিত নয়, যা দেশ ও দশের জন্য ক্ষতিকর। তিনি রোজিনা ইসলাম ও রফিকুল ইসলামকে তাঁদের সফলতার জন্য অভিনন্দন জানান।

বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক লিজা কামরুন্নাহার বলেন, রোজিনা ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম তাঁদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করে যে সফলতা এনেছেন, তা অন্য সংবাদকর্মীদের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।

এনএনসির ভাইস প্রেসিডেন্ট হুমায়ন কবির ভূঁইয়া বলেন, এ গুণী সাংবাদিকেরা বাংলাদেশের গৌরবময় সন্তান। অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা ও সার্বিক ব্যবস্থাপক খান লিটন তাঁর ছোটবেলার বন্ধু ও একসঙ্গে হাতে ব্লক বসিয়ে সাপ্তাহিক বরগুনা কণ্ঠে সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেছেন রফিকুল ইসলাম মন্টুর সঙ্গে, তার বর্ণনা দেন। রোজিনা ইসলাম যখন গ্রেপ্তার হয়েছিলেন, তখন বিশ্ব সাংবাদিক ফোরামের ব্যানারে খান লিটন ভার্চ্যুয়াল প্রতিবাদে আন্দোলন করেন।

আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত দুই সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম ও রোজিনা ইসলাম তাঁদের অভ্যর্থনা ও সম্মান জানানোর জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এনএনসির প্রতি। তাঁরা তাঁদের সাংবাদিকতার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, এ প্রাপ্তি তাঁদের কাজের আরও সাহস ও শক্তি দিয়েছে। জেল-জুলুম রোজিনার আগামী দিনের ভালো কাজের প্রেরণা হিসেবে দেখছেন বলে জানান। রোজিনা তাঁর সম্পাদক ও সহকর্মী এবং সবাই—যাঁরা তাঁর গ্রেপ্তারের সময় আন্দোলন করেছেন, সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। রফিকুল ইসলাম প্রান্তিক মানুষদের নিরাপদ জীবন যাপনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্তদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। আয়োজক মিডিয়াকর্মীদের সবাইকে সবার পাশে থাকার বিনীত অনুরোধ জানান।